ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই ভুয়া সমন্বয়কের নাম শরীফ সজীব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে নিজেকে সমন্বয়কারী পরিচয় দিয়ে ঐ কর্মকর্তাকে অপহরণ করেন সজীব। এরপর সিকিউরিটি গার্ড শাকিল আহমেদ নোমানসহ কয়েকজন গার্ড সজীবের নেতৃত্বে সাইফুল ইসলামকে নিযার্তন ও হয়রানি করে। যদিও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়ার কথা পরে অস্বীকার করেন সজীব।
ভুক্তভোগী সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্য কর্মকর্তারা অনুপস্থিত হয়ে পড়েন। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে রাত-দিন দায়িত্ব পালন করি। গত ১৫ আগস্ট শরীফ সজীব নিজেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ফোন করেন। একপর্যায়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ‘যমুনা সেইভ গার্ড সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানির’ তিনজন গার্ড যাদের ঐ কোম্পানি নানা কারণে অনেক আগেই বরখাস্ত করে, তাদের পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তাকে বুঝিয়ে বলা হয় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করার নেই, সেই কোম্পানির বিষয়; কিন্তু তাতে তিনি ক্ষ্যান্ত হননি। বারবার ফোন করে হুমকি দিতে থাকেন।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে ১৬ আগস্ট বিকেলে সজীব, সিকিউরিটি গার্ড শাকিল আহমেদ নোমানসহ বেশ কয়েকজন লোক এসে আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের নিচে নিয়ে যায়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গার্ডসহ সবাই মিলে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গুজব রটায়, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। এরপর তারা আমাকে প্রশাসনিক ভবন-১ এ নিয়ে গিয়ে তার রুমে আটক ও অবরুদ্ধ করে নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতিতে আমাকে জোর করে পদত্যাগপত্র লিখতে বাধ্য করে।
এ বিষয়ে শরীফ সজীব বলেন, আমি কাউকে সমন্বয়কারী পরিচয় দিইনি; কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের হয়ে কেউ কথা বলতে এগিয়ে আসে না বলে আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এগিয়ে এসেছি।