
“শহীদ রুদ্র তোরণ”
শান্ত মুসাফির
রুদ্রের সাথে কথা হচ্ছিল
এক কিলোতে হাঁটতে হাঁটতে,
কেমিক্যাল ফেস্টিভ্যাল শেষে
বি বিল্ডিং থেকে বের হয়ে
ভার্সিটি গেট যাবার সময়।
কত শত কথা হলো
পাশ করে জব নাকি বিদেশে মাস্টার্স?
আরে আমরা আছি তো প্রাক্তন ভাইয়েরা
এতো চিন্তা করছিস কেন?
আমার কথায় একটু আশ্বস্ত হয়ে
মৃদু হেসে মাথার ক্যাপটা
একটু ঠিক করে নিলো রুদ্র।
হাঁটতে হাঁটতে কত বিপ্লবের গান
কত প্রতিবাদী কবিতা হলো,
বললাম, তোরা ‘জেন-জি’ পোলাপান
তোরা এসবের কি বুঝবি,
সারাদিন তো পড়ে থাকিস
ফেসবুক আর টিকটক নিয়ে,
আমার কথায় রুদ্র হেসে বলল,
ভাই, শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে হলেও
আমরাও কিন্তু বৈষম্যের প্রতিবাদ করতে পারি।
দেখতে দেখতে ভার্সিটি গেইট
কখন যেন চলে আসলাম।
সাস্টের নতুন গেইট টা দেখে
পুরনো সেই গেইটটা খুব মিস করলাম।
রুদ্রকে বললাম নতুন গেইটের সামনে
আমার একটা ছবি তুলে দেতো।
নিজেকে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়ে
সামনে তাকিয়ে দেখি রুদ্র কোথাও নেই !
এদিকে ওদিক অনেক খুঁজলাম,
কিন্তু নেই নেই নেই,
হঠাৎ এক শুন্যতা ভর করলো বুকের বাঁ পাশে ।
চারদিকে ভীষণ গোলাগুলির শব্দ আর
কাঁদানো গ্যাস, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,
পিছনে তাকিয়ে দেখি ভার্সিটি গেইট টা
কখন যেন শহীদ রুদ্র তোরণ হয়ে গেল।
আজ সমস্ত মিছিল এসে মিশেছে রুদ্র ত্বরণে
কতশত প্রতিবাদী কন্ঠস্বর যেন রুদ্রের প্রতিধ্বনি!
হাজার হাজার যুবকেরা দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে
রুদ্র হয়ে ফিরে আসে বারে বারে,
কিন্তু আমার ছোট ভাই সেই রুদ্রকে
কোথায় আর খুঁজে পেলাম না
নিউজটি পড়েছেন : ১৯৩