শনিবার,২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

“আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে আলোচনা করেছি” —–চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক 

“আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে আলোচনা করেছি”

—————-চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক 


জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, “আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে আলোচনা করেছি – ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, আহত শিক্ষার্থীদের সেবা, থানা ও সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সুরক্ষা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ভবন সমূহ এবং ধর্মীয় উপাসনালয় সমূহের সুরক্ষার জন্য বিএনসিসি, স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড এর মত স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয়  অংশগ্রহণ প্রয়োজন। চট্টগ্রাম মহানগর এবং ১৫ টি উপজেলার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, থানা ও  অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা  স্থাপনা রক্ষা, উপজেলা পর্যায়ে  উপজেলা কমপ্লেক্স , ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং ধর্মীয় উপাসনালয় সুরক্ষা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য এবং হাসপাতালে  আহতদের সেবার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট গঠন করতে হবে ।”

আজ সোমবার ১২ই আগস্ট  সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলাধীন বিএনসিসি, স্কাউট প্রতিনিধি ,রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে মত-বিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের পাঁচটি বিষয়ে আজ ৫ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গ্রাফিতি ও ক্যালিওগ্রাফি, ট্রাফিক, নিরাপত্তা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, হাসপাতাল। শিক্ষার্থীরা শহরের দেয়ালে দেয়ালে যে গ্রাফিতি কাজ চালাচ্ছেন সেটি আমাদের শহরকে সুন্দর করছেন। তারা এই বিপ্লবের স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখছেন। দেশের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে তুলে ধরছেন। আমাদের এই পাঁচ কমিটি তাদের সেই কাজে সমন্বয় করবে। নির্দিষ্ট একটি অংশ প্রতিদিন সেই কাজে যোগ দেবে। এরপর ট্রাফিকে একটি অংশ থাকবে। কোন সংগঠন থেকে কে থাকবে এবং কতজন থাকবে সেটি ঠিক করবে। নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, আদালত ভবন, বিচারকদের এলাকাগুলো নিরাপত্তায় আনা হবে। এছাড়া টানেল, বিমানবন্দর, বন্দর, কাস্টমস, উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ সবকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তারা দেখবে। পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো দেখবে। এর সঙ্গে আমাদের থানা, উপজেলাসহ সব স্থাপনায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হবে। আর সর্বশেষ হাসপাতালে সেবা দেওয়া হবে। অ্যাম্বুলেন্স করে রোগীদের পাঠানো, চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এসব কাজে জেলা ও মহানগরে প্রায় দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। এর মধ্যে শহরের থানাগুলোতে ১২৮ জন, আদালতে ৩০ জন, সিটি করপোরেশনে ১০ জন, অন্যান্য ৩২জনসহ মোট ২০০ জন। আর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় ২৬০ জন, গ্রাফিতিতে ৬০ জন কাজ করবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মো: সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং চট্টগ্রাম জেলার  প্রতিটি উপজেলায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, আহতদের সেবা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, থানা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গুলো সুরক্ষায় নির্দিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা প্রয়োজন। এজন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন  মোঃ আবু নাছির, প্লাটুন কমান্ডার বিএনসিসি, হাসিনা সুলতানা, চট্টগ্রাম জেলা নৌ কাব স্কাউট  লিডার, মো: মিজানুর রহমান,জেলা  সম্পাদক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন স্কাউটস  সহ চট্টগ্রাম জেলাধীন বিএনসিসি, স্কাউট প্রতিনিধি ,রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন প্রতিনিধিগণ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email