শনিবার,২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

“পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে কমিটি করা হবে তা শিক্ষার্থীদের নিয়েই করা হবে

“পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে কমিটি করা হবে তা শিক্ষার্থীদের নিয়েই করা হবে”

——————————জেলা প্রশাসক

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, “পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে কমিটি করা হবে তা শিক্ষার্থীদের নিয়েই করা হবে। দ্রুত চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে কাজে ফেরাতে হবে। তাঁদের মধ্যে যে ভয় তা শিক্ষার্থীদের দূর করতে হবে।” আজ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে পরিদর্শনের অংশ হিসেবে আয়োজিত মত-বিনিময়ে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

আজ বিকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জনজীবন স্বাভাবিককরণ এবং থানাসমূহ দ্রুত সচল করার প্রচেষ্টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দের সাথে সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে গমন করেন এবং মত বিনিময়ে সহায়তা করেন। এসময় তিনি বলেন – শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দীর্ঘমেয়াদে মাঠে পুলিশ প্রশাসনের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।

এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। এ ছাড়া বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করেছে। তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই আগামীকাল (আজ) থেকে নগরের পাঁচটি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে ছাত্রদের প্রতিনিধিও থাকবে।

কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, লালখান বাজার, ওয়াসা মোড়- এই মোড়গুলোতে ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিও থাকবে। প্রয়োজনে স্থান বাড়ানো হবে। প্রতিটি থানায় দল গঠন করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে। পুলিশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে শিক্ষার্থীরা।

মতবিনিময় শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরলোকগত শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্তর পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাতে যান জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনার। পরবর্তীতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত অরাজকতায় ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়তলী থানাও পরিদর্শন করেন কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) সাদি উর জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email