
শাকপুরা রাসমহোৎসবে“ধর্মের পরিচয়ে নয়,রাষ্ট্রের পরিচয়ে আমরা সবাই বাঙ্গালী”
–—নোমান আল মাহমুদ এম পি
নিজেকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু মনে না করে সবাই স্বাধীন দেশের বীর বাঙালির চেতনায় উজ্বীবিত হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।
গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে বাংলাদেশের আদি রাসস্থলী বোয়ালখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ৪দিনব্যাপি শাকপুরা রাসমহোৎসব ও রাসমেলা উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ ও চট্টগ্রাম মহানগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি উল্লেখিত কথা গুলো বলেন।
রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সনাতন ধর্মীয় জাতীয় নেতা সুজিত বিশ্বাস মন্টু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অতিথি ছিলেন- বোয়ালখালী উপজেলা আ’ লীগের সভাপতি নুরুল চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী রস্তম আলী, আওয়ামীলীগনেতা অনুপ দাশ, সংঘ শক্তি প্রকাশনার সম্পাদক ডা: শুভময় চৌধুরী, বৌদ্ধনেতা অধীর বড়ুয়া, হাজী গিয়াস উদ্দিন সোহেল, বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সাধারন সম্পাদক পল্টু কান্তি বড়ুয়া। রাস উদযাপন কমিটির কার্যকরী সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনার্দন চৌধুরী রঘুর স্বাগত বক্তব্যে ও রাস উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী আকাশ- অংকুর খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক পুলক চক্রবর্তীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় ধর্মীয় বক্তা ছিলেন – পরিব্রাজক শ্রীমৎ স্বামী স্বরুপানন্দ শাস্ত্রী মহারাজ, রাজউজান বাদশা মাবিয়া কলেজের অধ্যাপক প্রদীপ দে।
এতে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- ইউপি মেম্বার অনুপ দাশ,মহিলা মেম্বার ভালবাসা দাশ, আ’লীগ নেতা নেছারুল হক, রাস বিহারী ধাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডালিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চৌধুরী টাংকু, রাস কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক মানজিৎ চৌধুরী মহাদেব, স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি কিশলয় চৌধুরী মিল্টন, আ’লীগ নেতা প্রদীপ দে, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ বোয়ালখালী শাখার সাধারন সম্পাদক বিশুরাম সাটু, ছাত্রনেতা লব চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভাশেষে ঐতিহ্যবাহী মধ্যম শাকপুরা পল্লীশ্রী সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় ও সংগীতজ্ঞ মেঘনা দে’র তত্বাবধানে শিশু-কিশোর, প্রতিভাবান শিল্পীদের মনোরম পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্যঃ রাস উৎসব উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় আলোচনা, ভোগারতি, নাম সংকীর্তন, অন্ন- মহা প্রসাদ বিতরনসহ মহামেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দের সমাগম ঘটে।
নিউজটি পড়েছেন : ২৭২